বারিধারার কূটনৈতিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে আরেক পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ। রাত থেকে আশঙ্কাজনক হলেও সাজ্জাদ শেখের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দ্রুত তার অস্ত্রোপচার করা হবে।
ইউনাইটেড হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক ডা. ফজলে রাব্বি খান রোববার (৯ জুন) বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজ্জাদ শেখকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার বাঁ হাত ও পেটে গুলির চিহ্ন ছিল। হাতের গুলিতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। কিন্তু পেটের গুলিটি শরীরের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
বর্তমানে সাজ্জাদ শেখের অবস্থা স্থিতিশীল জানিয়ে ফজলে রাব্বি বলেন, তাকে জেনারেল আইসিইউতে রাখা হবে। দ্রুতই তার অস্ত্রোপচার করা হবে।
শনিবার (৮ জুন) রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলী গুলি করেন আরেক পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মনিরুল। আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটা এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সড়কে যান চলাচল। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় কনস্টেবল কাওছার আলীকে নিরস্ত্র করা হয়। ছুটে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।