• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে ক্ষোভ থেকে সহকর্মীকে গুলি করেন কনস্টেবল কাওছার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:৫০ এএম
যে ক্ষোভ থেকে সহকর্মীকে গুলি করেন কনস্টেবল কাওছার

রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা বারিধারায় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেন পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলী। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মনিরুল।

পুলিশ সূত্র জানায়, কাওছার ও মনিরুল একসঙ্গে ফিলিস্তিন দূতাবাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাইরে দাঁড়িয়ে কে কতক্ষণ দায়িত্ব পালন করবেন, তা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন কাওছার।

নিহত মনিরুলের ভাই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুবুল হক বাদী হয়ে আজ গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এই মামলায় আসামি কাওছারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নিহত মনিরুলের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায়। কাওছারের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়।

জানা গেছে, মনিরুল ও কাওছার ফিলিস্তিন দূতাবাসের কাউন্টারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী একজন ছিলেন কক্ষের ভেতরে। আরেকজন বাইরে। কাওছার চাকরিতে মনিরুলের চেয়ে জ্যেষ্ঠ ছিলেন। তিনি চাইতেন মনিরুল তাকে সম্মান করুক। কিছুটা বেশি সময় বাইরে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করুক। কিন্তু মনিরুল সেই কথা শুনতেন না। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরুলকে গুলি করেন কাওছার।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কাওছারের সঙ্গে থাকা অস্ত্রটি গুলিভর্তি ছিল। শুরু থেকেই তিনি অস্ত্রটির ‘ট্রিগার’ ধরে ছিলেন। এতে অনেকগুলো গুলি লাগে মনিরুলের বাঁ চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে। কাওছারের কাছ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৮ জুন) রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষের বাইরে এই গুলির ঘটনা ঘটে। 

Link copied!