গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুর পাল্টাপাল্টি দোষারোপে জড়িয়েছেন। তারা নিজস্ব ফেসবুক পেজে একে-অপরকে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযুক্ত করেছেন। শুধু তাই নয়, আহ্বায়ক থেকে রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে দলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলের বর্তমান পরিস্থিতি ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা বলেছেন নুরুল হক নুর। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের একটি পার্থক্য আছে। কারণ, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের গণসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ গড়ে উঠেছে। আমাদের দলের অধিকাংশ তরুণ নেতা এই রাজপথের আন্দোলন থেকে এ পর্যায়ে এসেছেন। কিন্তু রেজা কিবরিয়া ছিলেন গণফোরাম নেতা। সাংগঠনিক কার্যক্রমের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা তার নেই। বলা যায়, অন্য কোথাও পানি না পেয়ে তিনি আমাদের দলে ভিড়েছেন। তবুও আমরা তাকে বরণ করেছিলাম। কিন্তু গত দুই বছরে দলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে তাকে তেমনভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি। তার ওপর দলের নেতা-কর্মীরা বিরক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাংকে ছিলেন। তার অনেক আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে। এসব কথাও প্রচারিত হয়েছে। যদিও আমাদের দলের কাজে তা আসেনি। দলে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।”
প্রতিবেশী দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, “রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অনেকের সঙ্গেই আমাদের বৈঠক হয়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু দেশবিরোধী কোনো কার্যক্রমে আমি কখনো যুক্ত ছিলাম না।”
ফরহাদ মজহার ও ইনসাফ কমিটি নিয়ে আপত্তি প্রসঙ্গে নুর বলেন, “আমরা বিএনপির সঙ্গে মিলে যৌথ আন্দোলন গড়ে তুলে এ দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে চাই। সেখানে ইনসাফ কমিটির এজেন্ডা ভিন্ন। শওকত মাহমুদকে বিএনপি বহিষ্কার করেছে। তাই তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন গণঅধিকার পরিষদে পড়ুক তা আমরা চাই না।”
রেজা কিবরিয়া দেশে ফিরে নুরকে বহিষ্কার করবেন। এ বিষয়ে নুর বলেন, “এমনটি করার কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার তার নেই। এটি শুধুমাত্র কথার কথা ছাড়া আর কিছু না। গণঅধিকার পরিষদ রেজা কিবরিয়াকে ছাড়াই সামনের দিনের আন্দোলন সংগ্রামে বিরামহীনভাবে সামনের সারিতে থাকবে।”