দীর্ঘদিন ধরেই সরকারিতে বয়সসীমা বাড়ানোর আন্দোলন চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে গঠিত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে ঠিক রেখে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। তবে কতটুকু বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে কমিটি।
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির প্রধান। এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরির বয়সসীমা নেই।
আব্দুল মুয়ীদ আরও বলেন, ‘বয়স যেটা বাড়বে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হবে না। হলে তা স্থায়ীভাবে হবে। পাঁচ বছর পরে আবার তা পরিবর্তন হবে, সেটা ঠিক না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন,‘তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো কতটুকু বাড়ানো যায়।’
এই কমিটির প্রধানত একটাই ফোকাস- চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্য প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সাত কার্যদিবসের মধ্যে মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান।