চলতি অর্থবছরে কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি নানা করণে। ফলে আসছে বাজেটে বেশি কর সংগ্রহ করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা থাকবে। ফলে করের বোঝা বেড়ে যাবে। এমনটাই বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, এবারের বাজেটের আগেই অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে। এতে প্রবৃদ্ধির ধারা কমে গেছে। আর এর পেছনে কম কর সংগ্রহের মতো বিষয় আছে।
গত রোববার (৫ মে) নতুন সরকারের আসন্ন বাজেট নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি আয়োজিত সংলাপে এসব ধারণা তুলে ধরেছেন অর্থনীতিবিদরা। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “প্রবৃদ্ধির ধারা শ্লথ হওয়ার কারণে শুল্ক ছাড়ের বিষয় আসন্ন বাজেট থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে।”
আসন্ন বাজেট নিয়ে করা একটি জরিপের রিপোর্টে বলা হয়, “জরিপে তিনটি বিষয় পরিষ্কার। সবার আগে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা শোভন কর্মসংস্থান চায়, মানসম্মত শিক্ষা চায়, সম্প্রসারিত সামাজিক সুরক্ষা চায়।”
সিপিডির গবেষণা তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চের তথ্য অনুযায়ী দেশে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯.৮১ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এটি এখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলেছে। যা মানুষের জীবন মানকে আঘাত করছে। পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপভাবে প্রভাব ফেলছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, “বিগত দেড় দশকে কর জিডিপির অনুপাত বাড়েনি। সে কারণে আগামী বাজেটে কর সংগ্রহের বড় চেষ্টা থাকতেই হবে। এর ফলে আরও বেশি করদাতাকে করের আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে।”