• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে কারণে জলদস্যুরা নাবিকদের আঘাত করেনি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
যে কারণে জলদস্যুরা নাবিকদের আঘাত করেনি
এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছেন। এমভি আবদুল্লাহর এই ২৩ নাবিকের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল সারা দেশের মানুষ। ২৩ নাবিকদের বহন করা লাইটার জাহাজ যখন বন্দরে পৌঁছায়, তখন ছিল এক অভাবনীয় দৃশ্য। খুশিতে চোখের জল মুছছিলেন নাবিকদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানরা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ।
আব্দুর রশিদ বলেন, “জলদস্যুরা যখন আমাদের জিম্মি করেছিল তখন আমি হাত তুলে সারেন্ডার করে বলেছিলাম, আমরা বাংলাদেশি মুসলিম, আমরা রোজা আছি। এসব কথা বলায় তারা আর কিছু করেনি।”
আব্দুর রশিদ বলেন, “প্রথম দিন যখন আমরা দস্যু দ্বারা আক্রান্ত হলাম, তখন সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিলেন। আমি নিচে নেমে অ্যালার্ট দিচ্ছিলাম। সবকিছু অতি দ্রুত ঘটছে। দস্যুরা স্পিডবোটে এসে জাহাজে উঠে ব্রিজে চলে আসে। আমি আর সেকেন্ড অফিসার আমাদের হিডেন রুমে যেতে পারিনি। সেকেন্ড অফিসার আটক হওয়ার পর আমি গিয়ে দেখি একে-৪৭ তাক করে আছে তার দিকে। আমি যেতেই আমার দিকেও একে-৪৭ তাক করে।”
আব্দুর রশিদ বলেন, “আমাদের নাবিকদের কেউ কেউ কান্নাকাটি করেছিল। আমিও জীবনে প্রথম এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। মনে ভয় ছিল, কিন্তু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ স্বাভাবিক রেখেছি। সবাইকে হ্যান্ডেল করে, যেন আমাদের কোনো ক্রুর কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রেখেছি। সেফটি অব লাইফটাকে প্রাধান্য দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

Link copied!