শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হাজি সেলিমকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড চলাকালে আওয়ামী লীগের এই সাবেক সংসদ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান।
গত ২ সেপ্টেম্বর হাজি সেলিমকে লালবাগ থানা এলাকায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু হাজি সেলিম অসুস্থ হওয়ায় রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে বুধবার সকাল ৭টার আগে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আক্কাস মিয়া। আবেদনে কারা বিধি অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করা হয়।
রিমান্ড-ফেরত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতের আদেশ মোতাবেক পুলিশ রিমান্ডে প্রাপ্ত হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে সতর্কতার সঙ্গে মামলার ঘটনার বিষয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখে যাচাইবাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আরও বলা হয়, আসামি কথা বলতে পারেন না এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং কথা বলতে না পারায় তাকে গভীর ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং তিনি কথা বলতে না পারায় তাকে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে তাকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ভবিষ্যতে আরও রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, বিধায় মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।