বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃত্বে ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁটাবনের গ্লোরিয়াস সেন্টারে সভাটি হয়। তবে সভায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ অংশ নেননি।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ছাত্রনেতারা।
মতবিনিময় সভার বিষয়ে একাধিক ছাত্রনেতা জানান, ভারত রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছে কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হয়ে এখন নানা ধরনের উসকানি তৈরির চেষ্টা করছে। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা তারই প্রকাশ বলে দাবি তাদের।
এদিকে মতবিনিময় সভায় ছাত্র শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে না ডাকায় এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে বিতর্কের ঝড়।
এদিকে সভায় ছাত্রশিবিরকে না রাখার প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর আপত্তির কারণে তাদের রাখা হয়নি। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যেসব লড়াই সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। শিবিরের বিষয়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর বরাবরের মতো আপত্তি রয়েছে, তাই স্কিপ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সামনে বসা হবে না, এমনও না।”
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ এমন না। তারা নিজেদের ছাত্রসংগঠন হিসেবে নিজেরা প্রকাশ করেনি, তারা তাদের বিষয়ে স্পষ্ট করলে আমরা বসব।”
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া ছাত্রসংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্র সমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল)।