কোরবানির আগে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে ১ লাখ টাকা বায়না দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। সেই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে ‘অভিজাত’ সেই ছাগলটিও। যার সূত্র ধরে ‘কেঁচো খুঁড়তে রীতিমত সাপ বেরিয়ে’ পড়েছে। গোটা দেশে চলছে আলোচনা, সমালোচনা, তর্ক বিতর্ক।
সেই ঘটনার সূত্র ধরে এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে সেই অভিজাত ছাগলের ছবি। তবে এবার ছবি নয়, একেবারে জীবন্ত ছাগলের মুখোমুখি হয়েছেন এক সংবাদকর্মী। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোতে ছাগলটি এখন খাচ্ছে, দাচ্ছে আর ঘুমাচ্ছে।
আলোচিত তরুণ ইফাত অগ্রিম লাখ টাকা দিয়েও ছাগলটি আর নেননি। শুধু তাই নয়, বায়নার টাকা নিতেও তিনি আর ছাগলের মালিকের কাছে যাননি। বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, “বায়না দেওয়া ক্রেতাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।” নিরূপায় হয়ে আগামী কোরবানিতে আরও বেশি দামে বিক্রির আশায় যত্ন আত্তি বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে ছাগলটিকে দেখে মনে হচ্ছে মন ভালো নেই। বিষণ্ণতা পেয়ে বসেছে নিরীহ প্রাণীটিকে। এমনটা বোঝা গেল সাদিক এগ্রোর ম্যানেজার মোহাম্মদ শরিকের কথায়। কারণ তিনি জানালেন, ছাগলটি আগের মতো আর খাওয়া-দাওয়া করছে না। অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। শুধু আপেল আর গাজর খাচ্ছে আর ঘুমাচ্ছে। অবশ্য মোটাতাজা করার জন্য পাতা ও ভুসিও খাওয়ানো হচ্ছে।
অভিজাত ও আলোচিত ছাগলটির আত্মকাহিনি শোনার জন্য এখন সবাই উদগ্রীব। তাই সেই কাহিনি জানতে সাদিক এগ্রোর কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইনের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হলো। তবে তিনি শুধু এটুকু জানালেন যে, কোরবানির কিছুদিন আগে যশোরের একটা হাট থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকায় কিনেছিলেন ছাগলটি।
এর বেশি আর তথ্য নেই সাদিক এগ্রোর কাছে। ছাগলটি কে বা কারা বড় করে তুলেছিল তা আর জানা যাচ্ছে না। সেই হিসেবে ছাগলের আত্মকাহিনি মূলত পরের ঘটনাতেই আটকে আছে। যার বিস্তার ঘটেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ড. মতিউর রহমানের অঢেল সম্পদের কাহিনি অবধি।