শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকার শ্রম আদালতে এই মামলার পক্ষে প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি দেন শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত ৬ জুন এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে ড. ইউনূস সহ চারজনকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন শ্রম আদালত। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করলে, হাইকোর্ট সেটি খারিজ করে রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল বিভাগে আপিল করলে গত ২০ আগস্ট সেই আপিলও খারিজ হয়ে যায়। ফলে পূর্বনির্ধারিত দিন অনুযায়ী মঙ্গলবার এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করে শ্রম আদালত।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।