দেশে সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা সাধারণত ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। তবে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। তারা আশঙ্কা করছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, চলতি মাসে বিচ্ছিন্নভাবে একটি বা দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি থাকবে।
একই সঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ জানাচ্ছেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
বন্যার আশঙ্কা
আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাস মতে, চলতি মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টির কারণে স্বল্প মেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় বন্যা হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, “সেপ্টেম্বর মাসেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কবে নাগাদ বন্যা হতে পারে সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক অর্থাৎ ৩১৮ দশমিক দুই মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি বা দুটি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টির হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
অবশ্য, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, আমাদের প্রধান নদী অববাহিকায় আগামী অন্তত ১০ দিন এবং তিস্তা-মুহুরীর মতো ছোট নদী—যেখানে আকস্মিক বন্যা হয়, সেখানেও আপাতত বন্যার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।