• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
চুয়াডাঙায় দাবদাহ

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে মাইকিং


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ০৫:২৪ পিএম
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে মাইকিং

প্রচণ্ড তাপদাহে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ইতোমধ্যে জেলায় জনসাধারণকে সতর্ক করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। আরও এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এ নিয়ে টানা ১৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। প্রচণ্ড গরম ও রোদের তাপের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। শহরের কিছু স্থানে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, “তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজা থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “আমিও দেখেছি শহরের কিছু স্থানে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তবে পিচ বেশি গলে গেলে খোয়াগুলো নরম হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। এ ছাড়া রাস্তায় অনেক সময় ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে যায়। পিচ গলে গেলে যান চলাচল করলে সেই ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতে পানি ঢুকতে পারে না। আমরা বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখছি। তেমন পর্যায়ে গেলে বা কেউ জানালে আমরা মেরামত করব।”

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, “শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা ১৪ দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে সেটাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। আগামী ২১ এপ্রিলের পর থেকে তাপদাহ কমতে পারে।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়। সন্ধ্যার পর শরবত, পানি ও ফলমূল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্ট্রোক, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা করার জন্য সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

Link copied!