বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে। এটি দ্রুতই দৃশ্যমান হবে।”
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১৪৬তম ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউটের ৫৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রেস ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সোজা (সহজ) নয়। দেশের টাকা যে পাচার হয়েছে এটা জানতেই ১৬ বছর লেগেছে। এখন আনতে ১৬ বছর লাগবে না, তাড়াতাড়ি হবে। যারা কাজ করবে, তারা এক্সপার্ট (দক্ষ)।”
সরকারের এক মাসে বাজার ব্যবস্থাপনায় কী পরিবর্তন এসেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সরকার আলু ও পেঁয়াজের ট্যাক্স তুলে দিয়েছে। এটার ফলে বাজারে সঙ্গে সঙ্গেই দাম কমবে না, রিফ্লেক্ট (প্রতিফলন) করতে সময় লাগে। মিডলম্যান ও চাঁদাবাজি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি, মনিটরিং জোরদার করতে। আবার বেশি চাপাচাপি করলে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। এটা (পণ্যমূল্য) কমবে। ভোক্তার যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য ব্যবসায়ীদের বলেছি, বেশি প্রফিট (লাভ) করা যাবে না।”
এক মাসের অর্জন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “ব্যাংকিং খাতে কনফিডেন্সের (আস্থার) অভাব ছিল। এই সেক্টরে কনফিডেন্স ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স হবে। এনবিআর ইমিডিয়েটলি (অতিসত্বর) একটি টাস্কফোর্স করবে। বিদেশে অনেক বাঙালি যোগ্য বিশেষজ্ঞ আছে, প্রয়োজনে তাদের কাজে লাগানো হবে।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “চলতি অর্থ বছরে সম্ভাব্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অবস্থা মোটামুটি ভালো, ইতিবাচক। আশা করি, এটা হবে।”
জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশ ফিরে পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “জিএসপির ব্যাপারে আমেরিকা কিছু শর্ত না কোয়ারি দিয়েছে, তার উত্তর দিয়েছি। এ মাসেই ওয়াশিংটন যাব, সেখানে তাদের সঙ্গে ফেস টু ফেস (সামনা-সামনি) কথা হবে। কী কী শর্ত আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত কথা হবে।”
২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “জানুয়ারিতেই বাণিজ্য মেলা হবে। শুরুতেই না হলেও কাছাকাছি ডেটেই (তারিখ) হবে। এবার মেলায় ইনোভেটিভ (উদ্ভাবনী) দিক থাকবে। যারা এক্সপোর্ট (রপ্তানি) করে বা এক্সপোর্ট পটেনশিয়ালটি (রপ্তানি সম্ভাবনা) আছে, তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করব। আমরা দেশীয় পণ্যের এক্সপোর্ট (রপ্তানি) এনকারেজ (উৎসাহিত) করব।”