বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম বলেছেন, “পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অর্জন বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখতে হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।”
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ নামে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষের আন্দোলনের ফসল। এই সরকারকে ব্যর্থ করতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। এ সরকারে যারা আছেন, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এই সুযোগে বিভিন্ন কৃত্রিম ইস্যু সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চলছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।”
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, “২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র সফল হলে বাংলাদেশের রাজধানী হতো দিল্লি। পালিয়ে যাওয়ার পরে এখন আবার দেশে প্রবেশের দুঃস্বপ্ন দেখছেন তিনি।”
আব্দুস সালাম আজাদ আরও বলেন, “নৈতিক সাহস থাকলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেন না। এখন ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন করিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছেন।”