রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথও বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, “আমরা কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছি, কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাজ করতে হবে। যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারি তাহলে আমরা অর্থনৈতিকসহ সবদিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হবো।”
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনায়েতপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এনায়েতপুর হাই স্কুল মাঠে ঐতিহাসিক স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তা অবিস্মরণীয়। ২০২৪-এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের যে আত্মত্যাগ তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে। তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “২৪-এর গণ-বিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। আমরা দেশকে আজ স্বৈরাচার মুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য অল্প একটু অর্জন করেছি। আমাদের আরও অনেক পথ বাকি আছে। এই পথ সঠিকভাবে পাড়ি দিতে হবে। এতে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তারেক রহমান বলেন, “যখন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি ব্যবস্থা থাকবে তখনই যারাই সরকার পরিচালনা করবে তারা জনগণের কথা চিন্তা করবে। এ কারণে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আন্দোলন।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “দেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থাসহ সামগ্রিকভাবে মানুষের কাছে আমরা ৩১ দফা দাবি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইলে সকল সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ, শুধু রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করলে চলবে না। একইসঙ্গে এটার সুফল পেতে হলে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথ বাতলাতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারি, তাহলে সকল ক্ষেত্রে আমাদের মুক্তি হবে। দেশীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃস্টি করে বেকার সমস্যা দূর করা যাবে। এনায়েতপুর ও বেলকুচি অঞ্চলের তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়ে তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।”
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।