জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বেলা ৩টায় এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে ২৭ জুলাই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ বিপি মোশারফ হোসেন কাজল শুনানি শেষ করেন। এরপর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক শুনানিতে দাবি করেন, জুবাইদা রহমান ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন পিপি।
তারেক ও জুবাইদা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়িকে মামলা থেকে হাইকোর্ট অব্যাহতি দেন।