জয়কে ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ভাবছেন তাজ!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, সর্বক্ষত্রে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ মাস্টারমাইন্ড।। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন মহলে এই মাস্টারমাইন্ড শব্দটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এর শুরু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে মাহফুজ আলমকে বিশ্ববাসীর সামনে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার পর থেকে।

এবার ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নিয়ে মুখ খুলেন সোহেল তাজ। নিজের ফেসবুকে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রিন্স চার্লসের রাজা হওয়ার ঘটনা সামনে এনে স্ট্যাটাসে কী ইঙ্গিত দিলেন তাজ। তবে কি পেছন থেকে সব কলকাঠি নেড়েছেন জয়, ওই স্ট্যাটাসের পর এমন প্রশ্ন ঘুরছে নেট দুনিয়ায়। কেউ কেউ বলছেন, আসলে মাথা নষ্ট হয়েছে বঙ্গতাজের।    

সোহেল তাজ নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন (বানান ও বাক্যরীতি অপরিবর্তিত) , “আজকে পত্রিকায় পড়লাম বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন যে ছাত্র-জনতার অভুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান আবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাহেব বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়। আবার কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন এই গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে মাহফুজ- আশ্চর্য হবার কিছুই থাকবে না যদি কয়েকদিন পর শোনা যায় যে আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়- আমাদের সবার নিশ্চই মনে আছে বেচারা প্রিন্স চার্লস এর কত বছরই না অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাজা হবার জন্য।”

সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস নিয়ে অবশ্য এখনও বিএনপি বা জামায়াতের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি ড. ইউনূস কিংবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের তরফে। 

তবে  শনিবার ভোরের দিকে করা তাজের পোস্টে রোববার  (১৩ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত শত শত মানুষ কমন্টে করেছেন। শেয়ারও করেছেন হাজারের বেশি মানুষ। সুনির্দিষ্ট করে বললে ১৩ হাজার ২০০ কমেন্টস ও ১ হাজার ৪০০ শেয়ের পড়েছে এতে।

একজন কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘আপনাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জোর দাবি জানাইতেছি।’

মো. সালাউদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, একজন সাদা মনের মানুষ সোহেল তাজ ভাই। যিনি কোন দলের দালালি করে না। শুভকামনা রইল প্রিয় ভাইয়ের জন্য

আরিফা রহমান রুমা নামে একজন লিখেছেন, “বঙ্গতাজের জন্য কষ্ট হচ্ছে। আপনার পরিবারের অনেকেই আমার ঘনিষ্ট। আপনার প্রোপার চিকিৎসা কেন করাচ্ছে না, বুঝলাম না।”