• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রেতো রেংগলি। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে সুইজারল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি।

এসময় সুইজারল্যান্ডের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে ফারুক খান বলেন, “আমরা আশা করছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ডের মাঝে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হবে। এরপর আমরা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করব।”

ফারুক খান বলেন, “বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান অ্যাভিয়েশন হাবে রূপান্তর করার জন্য কাজ করছি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ ও নতুন টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সকল বিমানবন্দরের অ্যাভিয়েশন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল চালু হওয়ার পর আকাশপথের বিদ্যমান যাত্রী সংখ্যা ও কার্গোর পরিমাণ কয়েক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হবে।”

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছরেই তার বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়াও আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানে সুইজারল্যান্ড বিনিয়োগ করলে আমরা তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করব। পাশাপাশি আমরা ভিসা সহজিকরণ ও ই- ভিসা চালু করা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। এখনই উত্তম সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অ্যাভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার।”

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, “এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ টিমের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টিম নেগোসিয়েশনে প্রশংসনীয় দক্ষতা দেখিয়েছে। তাদের দক্ষতা ও সহযোগিতার জন্য সুইজারল্যান্ডের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।”

রেতো রেংগলি আরও বলেন, “বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশকে অ্যাভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ চলছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলব। বিনিয়োগের জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যেন বাংলাদেশ সফর করে সেই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এছাড়াও পর্যটনের উন্নয়নের জন্য যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে, তা আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করব।”

Link copied!