রাজধানীর একটি বাসায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু অবস্থান করছেন সন্দেহে সেটি ঘিরে রাখে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচ তলায় কিছু অফিস ভাঙচুর চালায় এবং লুট করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পুলিশ সদস্যরা বাসার ভেতরে প্রবেশ করেছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বসুন্ধরা সি ব্লকের দুই নম্বর রোডের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অফ বাংলাদেশ (পুসাব) নামে এক ফেসবুকের পেজের পোস্ট থেকে জানা যায়, সি ব্লকের মাটি প্রপার্টিজে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু ও পিচ্ছি শামীম (মাটি প্রপার্টিজের মালিক) লুকিয়ে আছেন তথ্যে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিল্ডিংটি ঘেরাও করে (আনুমানিক ১২টার দিকে, উল্লেখ্য সি ব্লক এলাকা পুরোটাই শিক্ষার্থী অধ্যুষিত)। এ সময় ভেতর থেকে আরেকটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
এতে বলা হয়েছে, একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকেও ডাকার কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা পর শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে আরও শিক্ষার্থী জড়ো করে। কিন্তু ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের কাছে অস্ত্র আছে এমন তথ্যে তারা দীর্ঘসময় বিল্ডিংটির বসুন্ধরা অংশ ঘিরে রাখে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ভেতরে থাকা অপর পক্ষ পেছনের গেইট দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিল্ডিংটিতে প্রবেশ করে কাউকে না পেয়ে রিসিপশন ও অফিস ভাঙচুর চালিয়েছে। ফেসবুক পেজটির পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের এই বিল্ডিংটি বেশ বিতর্কিত ও অপরাধের আতুরঘর। বিল্ডিংটির কুড়িল ও বসুন্ধরা উভয়পাশে গেইট থাকায় পালিয়ে যাওয়া সহজ।
এর আগে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে নালিশি মামলা হয়। তার ব্যাংক হিসাব জব্দেরও নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে আমুর সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।