আসছে অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর করারোপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সিগারেট তথা তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরও বাড়ানো হলে তা ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করবে। তাই
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।
বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় সভায় নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া কয়েকটি তামাকবিরোধী সংগঠনের পক্ষে সিগারেটে কার্যকর কর আরোপের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।
আলোচনা সভায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, তামাকের তিনটি পক্ষ রয়েছে উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারী। এই তিন পক্ষকেই নিরুৎসাহিত করতে হবে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, যত্রতত্র তামাক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট আইন করে জরিমানার আওতায় আনতে হবে। ‘নো স্মোকিং জোন’-এর পরিধি আরও বাড়াতে হবে। তামাক ব্যবহারের কুফল জানাতে সমাজের বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিদের সামনে আনতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ কারণেই দেশের তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো সিগারেটে কার্যকর করারোপের পক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, ড. মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরি, নাজমা আক্তার প্রমুখ।