রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, “রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সম্প্রতি রেলে বেশি কিছু দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কর্মসূচির নামে এমন সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রেল ভবনের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলে নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।
নুরুল ইসলাম বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে। কিন্তু এর সঙ্গে যে সহিংসতা করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
রেলমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে রেলকে সম্পৃক্ত করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফেলে জনজীবন যে হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো প্রতিটি ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের দিক থেকে আমরা নিরাপদ রেল যাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।”
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১১ সাল থেকে রেলকে অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রেলকে মানুষের কাছে আরও বেশি নিরাপদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পর এর ভেতরে থেকে আগুন দেওয়া হয়। এর তিনটি কোচে আগুন দেওয়া হয়। এতে চারজন মারা যায়। তিনটি কোচ পুড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন নাদিয়া আক্তার পপি ও তার ছেলে ইয়াসিন। অন্য দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী সবার সহযোগিতা চান।
ভোরে নেত্রকোণা থেকে ঢাকায় ঢোকার পথে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। ভোর ৫টার দিকে তেজগাঁও স্টেশনে এ ঘটনায় পুড়ে গেছে ট্রেনটির তিনটি বগি। এর মধ্যে একটি বগি থেকে এক মা, তার শিশু সন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর যাত্রীরা বগিতে আগুন দেখতে পান। তারা চিৎকার শুরু করলে চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনের কাছাকাছি থামান। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াসিন এবং। বাকি দুজনের নামপরিচয় জানা যায়নি। তাদের মরদেহ মর্গে রয়েছে।