গণভবন থেকে লুট হওয়া জিনিস সংগ্রহ করছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবর পাওয়া মাত্রই একদল লোক গণভবনে হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে লুটপাট চালায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের লুটপাট ঠেকাতে তাদের বাধা দেন। এসময় তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করবেন না’।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোকজন গণভবন থেকে শাকসবজি, মাছ-মাংস, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বের হচ্ছেন। অনেকে নিয়েছেন টেলিভিশন, ঘড়ি, লাগেজ, ঝুড়ি এমনকি কাপ-পিরিচও। কাঁধে বা রিকশায় করে এসব জিনিস নিয়ে গণভবন থেকে বের হচ্ছিলেন তারা।
প্ল্যাকার্ড হাতে থাকা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্নাতক শিক্ষার্থী ফয়সাল আলম নামের এক তরুণ বলেন, “রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করা আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল না। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পাশপাশি আমাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট রোধ করা। গণভবন থেকে একদল লোককে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না। এটা ঠেকাতে আমাদের মধ্যে কয়েকজন উৎসুক জনতাকে জিনিসপত্র ফেরত দিতে বলেছেন। অন্যরাও এখন আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
ফয়সাল আলম আরও বলেন, “এখন অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে গণভবন থেকে নেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেলে যাচ্ছেন। সবার কথা মাথায় রেখে আমরা সেগুলো এক জায়গায় জড়ো করছি। এরপর সেনা কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করবো।”
শিক্ষার্থীরা জানান, লুট হওয়া সম্পদের তুলনায় ফেরত পাওয়া জিনিসপত্রের সংখ্যা অনেক কম। আসবাবপত্র ছাড়াও হাঁস-মুরগি, মাছ, ছাগল, নারকেল, গাছপালা, ফুল এবং আরও অনেক কিছু লুট হয়েছে গণভবন থেকে।