রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর জেরে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে সায়েন্সল্যাবে সড়ক অবরোধ করেন।
কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “সাত কলেজের ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত পূর্বের দেওয়া স্মারকলিপির (কোটা প্রথা বাতিল, আসন সংখ্যা কমানোসহ ৫ দফা দাবি) অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রো-ভিসি আমাদের খুব বাজে আচরণ করেন। দুর্ব্যবহার করে তিনি শিক্ষার্থীদের বের করে দেন।”
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমাদের দাবি মেনেই ৭ কলেজের ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। রাষ্ট্র যখন আমাদের নিয়ে সিদ্ধান্তে আসছে, ঠিক তখনই তারা টালবাহানা শুরু করেছে। প্রো-ভিসির অসদাচরণের প্রতিবাদে আজ আমরা এখানে আন্দোলন করছি। মূলত ঢাবি প্রোভিসির ক্ষমা চাওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।”
আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানী টেকনিক্যাল মোড়ে সড়ক আটকে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই ৭ কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে। সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।