বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গেল মার্চে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৮ কেজি ১৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি ৫৫০ গ্রাম রূপা, ৪ লাখ ২৬ হাজার ৮১২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, এক হাজার ৭৭৭টি ইমিটেশন গহনা, ৪৩ হাজার ২৬৭টি শাড়ি, ১২ হাজার ২০৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ২ হাজার ৫৮৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৩১৯ কেজি চা পাতা, ৪৭ হাজার ৭৩৫ কেজি কয়লা, এক হাজার ৪৪০ ঘনফুট পাথর, ৫টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, একটি বাস, ৫টি পিকআপ, ১০টি নৌকা, ২৭টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৬৪টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, একটি পিস্তল, একটি এলজি, দুইটি ম্যাগাজিন, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ১৬০ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৬২ পিস ইয়াবা, ৫ কেজি ৭২৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৮ দশমিক ২১৩ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৪৩২ বোতল ফেনসিডিল, ২১ হাজার ৪৭৬ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ২৮৭ লিটার বাংলা মদ, এক হাজার ৩১৯ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৯২৫ কেজি গাঁজা, ৬২ হাজার ৯০৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ২ হাজার ৩২৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১ দশমিক ৫০০ কেজি কোকেন, এক হাজার ১৩ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১২২ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, চার হাজারটি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, শূন্য দশমিক ৯০০ কেজি এলএসডি, ১৪০ প্যাকেট কীটনাশক এবং ১১ লাখ ২১ হাজার ২টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩১ জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৭৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪২৪ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।