• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এখনও আমাকে হত্যার প্রচেষ্টা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১০:৩৮ এএম
এখনও আমাকে হত্যার প্রচেষ্টা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
জনগণের শক্তি নিয়েই আমি চলছি। ছবি : বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বার বার তাঁর ওপর আঘাত এসেছে, কিন্তু তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য দেশের কাজ তিনি করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, “এখনও আমার ওপর বার বার হামলা হচ্ছে। এমনকি দেশে নয়, বিদেশেও প্রচেষ্টা (হত্যার) চালানো হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম ও শেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ জন্য আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই। জন্মালে মরতেই হবে, কিন্তু যতক্ষণ প্রাণ আছে এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।”

জনগণকে তাঁর শক্তির উৎস উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আমার দেশে ফেরা, কাজ করা, যার পেছনে একটাই শক্তি ছিল, সেটা বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণের শক্তি নিয়েই আমি চলছি। বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমার পরিবার বলতে মনে করি এই বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণকে। সেই মানসিকতা এবং আন্তরিকতা নিয়েই আমি দেশের কাজ করি।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “যখন মানুষের কল্যাণে কাজ করি, তখন কে কোন দল করে সেটা আমি দেখি না। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছি। তাদের জন্য কাজ করেছি। তাদেরই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেননা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

প্রধানমন্ত্রী পিটিয়ে মানুষ হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগকারীদের ‘জানোয়ার’ আখ্যায়িত করে সংসদে প্রশ্ন রাখেন, “দেশবাসীর কাছে আমি জানতে চাই কোন বাংলাদেশ চান আপনারা? এই সন্ত্রাসী, এই জঙ্গি, এই অমানুষগুলোর সঙ্গে কারা থাকে? আর তাদের সাথে বসার কথা কারা বলে।”

সরকারপ্রধান বলেন, “পশুদের একটা ধর্ম আছে, এদের সেটাও নাই। ওরা চুরি, লুণ্ঠন, দুর্বৃত্তপরায়নতা ছাড়া আর কিছুই জানে না।”

রিজার্ভ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “রিজার্ভ সময়ে সময়ে বাড়ে, কমে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজগুলো করে যাচ্ছি। আমরা সবসময় খুব সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০০৬ সালে ছিল মাত্র এক হাজার ৪৬২ টাকা। আমরা তিন দফায় বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৩০০ টাকায় উন্নীত করেছি। আমি জানি জিনিসপত্রের দাম নিয়ে অনেকে হা-হুতাশ করছেন। কিন্তু আমরা এই যে উৎপাদন বাড়ালাম। জনসংখ্যা কিন্তু এতগুণ বাড়েনি। তাহলে এগুলো গেল কোথায়? মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। খাদ্যগুণ বেড়েছে। সেটাই হলো বড় কথা।”

সূত্র : বাসস

Link copied!