দেশে কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মাহবুব হোসেন বলেন, “দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবক, শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে, তাদের সংশোধনের পরিবেশ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিশোর গ্যাং মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সবাকে যুক্ত হতে বলেছেন। প্রথাগতভাবে যেভাবে অন্য অপরাধীদের দেখভাল করা হয়, তাদের (কিশোর গ্যাং) ক্ষেত্রে একটু বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি দিতে বলেছেন।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তারা (কিশোর গ্যাং) একটি অপরাধে জড়িত হলে তাদের যেন দীর্ঘমেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলা হয়, সেটার দেখার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য তাদের সংশোধনের জন্য যেন, সুযোগ রাখা হয় সে কথাও বলেছেন। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের নিয়োজিত করার সুযোগ রাখা হয় এটিও তিনি বলেছেন। জেলখানায় যখন রাখা হয়, তখন তাদের যাতে অন্য আসামিদের সঙ্গে রাখা না হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রকল্প নেওয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এরইমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।”
মাহবুব হোসেন জানান, দেশে এখন তিনটি সংশোধনাগার আছে, এর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আরও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে বলেছেন, যাতে করে তারা সংশোধন হতে পারে। সমাজে, রাষ্ট্রে তারা যেন, তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারে, সেভাবে যেন তাদের সংশোধন করা হয়। কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন। কিশোর অপরাধীদের যখন ব্যবস্থাপনা করা হয়, তখন যেন অবশ্যই মনোবিজ্ঞানী বা যারা কাউন্সিলিং করবেন তারা বড় ভূমিকা পালন করবেন। অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আইন স্বাভাবিক গতিতে চলবে। এদের যখন হ্যান্ডেল করা হবে, তখন যেন আরও বড় অপরাধী না বানানো হয়, তাকে যেন সংশোধন হওয়ার পরিবেশ দেওয়া হয় এবং জেলে থাকলেও যেন ভালো নাগরিক হয়ে বের হয়ে আসতে পারে, সেটার ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, “সংশোধনের সুযোগটা যেন তারা পান। কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করার সময় মনে রাখতে হবে, তারা ভবিষ্যতের নাগরিক। অন্য অপরাধীদের সঙ্গে তাদের যেন না রাখা হয়, তাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”