আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ থেকে ১৫ ভ্যাট কমলেও তবে বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমেনি, বরং বেড়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, রোববার খোলাবাজারে প্রতি লিটার পাম তেলের সর্বোচ্চ দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এক টাকা বেড়ে ১৪৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৫ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানিতে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও বিক্রির পর্যায়ে সম্পূর্ণ ভ্যাট তুলে নেওয়ার পর নতুন করে এই দাম বাড়ল।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি খরচ কমানো ও সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে গত ১৭ অক্টোবর এনবিআর ভোজ্যতেলসহ আরও কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়।
জাতীয় রাজস্ব দপ্তর বলছে, ভোজ্যতেলের ওপর কম ভ্যাট চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে দেশের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের বাড়তি দামের কারণে অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম বেশি। রপ্তানিকারক দেশগুলো পাম তেল ব্যবহার করে বায়োডিজেল উৎপাদন বাড়াচ্ছে।”
দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাম ও সয়াবিন তেল আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে পাঁচ শতাংশে আনার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে পাম তেলের দাম টনপ্রতি নয় শতাংশ বেড়ে ৯৩৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক বছর আগে ছিল ৮৫৬ ডলার।
মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদনকারী ইন্দোনেশিয়া থেকে সরবরাহের ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজারে দামবৃদ্ধির একটি কারণ।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বলেন, “দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দামে ভ্যাট কমানোর কোনো প্রভাব নেই। কারণ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।”
“গত এক সপ্তাহে পাম ও সয়াবিন তেলের দাম প্রতি মণে ২০০-২৫০ টাকা বেড়েছে”, যোগ করেন তিনি।