জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার একজন প্রতিনিধির হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন সোহেল তাজ। এর আগে তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করেন। এসময় ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে সোহেল তাজের সঙ্গে ছিলেন সমর্থক ও অনুসারীরা। পদযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ বলেন, “বাংলাদেশ সুন্দর রাষ্ট্র হলে আমার বাবা-মায়ের আত্মা শান্তি পাবে। তাদের প্রেরণা তুলে ধরতেই আজকের এই পদযাত্রা। ব্যক্তি হিসেবে আমি লজ্জিত যে রাষ্ট্রের কাছে আমার চাইতে হচ্ছে। এই দায়িত্বটা রাষ্ট্রেরই ছিল। সংস্কারের প্রধান অংশ গণ-অভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ।”
সোহেল তাজ আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় ৪ নেতার নেতৃত্ব ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি।”
তিন দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া ও পদযাত্রার ঘোষণা গত ১ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তাজউদ্দিনপুত্র।
তিন দফা দাবি হলো-
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।