যাত্রাবাড়ী ও লালবাগ থানার পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এদিন সকাল ৮টার পর প্রিজন ভ্যানে আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, কামরুল ইসলাম, আ স ম ফিরোজ, সাদেক খান, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দলের নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর সকাল ৯টার পর তাদের পুলিশি পাহারায় আদালতকক্ষে তোলা হয়। এরপর ঘণ্টাবাপী শুনানি শেষে আবার তাদের প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেওয়া হয়।
এদিন আদালতে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নিজের আইনজীবী ছাড়া আর কারও সঙ্গে তিনি কোনো কথা বলেননি। এ সময় তাকে বেশ বিমর্ষ দেখা যায়।
কাঠগড়ায় আনিসুল হকের ডান পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজি সেলিমকেও বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। মাঝেমধ্যে তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। হাজি সেলিমের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার ছেলে সোলাইমান সেলিম। প্রায় এক ঘণ্টা দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা নিজেদের মধ্যে কোনো কথা বলেননি।
আলাদা দুটি হত্যা মামলায় যখন সোলাইমান সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়, তখন হাজি সেলিম বারবার তার বাঁ হাত মাথার ওপরে রাখছিলেন।
এদিকে কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসি মুখে দেখা গেছে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে। আদালতে আওয়ামী লীগ নেতা সালমান এফ রহমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখে ছিল হাসি ছিল দীপু মনির।