• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
৬৩ বছরের রেকর্ড

দাবদাহে লবণচাষিদের মুখে হাসি


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
দাবদাহে লবণচাষিদের মুখে হাসি

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চারদিকে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত, ঠিক তখন উপকূলের লবণচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। ৬৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন করলেন তারা। চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে গত রোববার (২৮ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন। যা বিগত ৬৩ বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

এর আগে গেল বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। এবার অতিরিক্ত এক হাজার ৭৬৮ টন ‍উৎপাদন হয়েছে। এখনো লবণের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

বিসিকের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছে। গেল বছরে জমির পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গেল বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে লবণ চাষের জমি বেড়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

এছাড়া চলতি মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যাও বেড়েছে। আগের বছর যেখানে ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, এবার বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ৬৯৫ জন। চলতি মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় দাম ৩১২ টাকা। গেল বছরে এই দাম ছিল ৪২০ টাকা। উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমেছে মণপ্রতি ১০৮ টাকা।

চলতি মৌসুমে যে হারে লবণ উৎপাদন হচ্ছে, তা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন বেড়ে যাবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলছেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহের পাশাপাশি শতভাগ জমিতে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তি প্রয়োগে অতিরিক্ত জমি এসেছে লবণ চাষের আওতায়। ফলে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

Link copied!