পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে ঘণীভূত হচ্ছে। শনিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে গভীর নিম্নচাপ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সেক্ষেত্রে রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। যা ১০ নম্বর মহাবিপদে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রমের সময় জোয়ার থাকলে চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। যেখানে স্বাভাবিক জোয়ারের উচ্চতা তিন দশমিক ২২ ফুট। তবে রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে সেক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে। খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গে সাগর আইল্যান্ড ঘেঁষে ঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম করবে। তবে সন্ধ্যা থেকেই ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় দেখা যাবে। ঝড়ের প্রভাবে কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।”
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের গতি থাকে ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটার। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ১১৯ থেকে ২১৯ কিলোমিটার বেগে থাকে বাতাসের গতি। আর সুপারসাইক্লোনে বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি থাকে।