বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজ করতে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) অর্থ বিভাগের অধীনস্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, গণমাধ্যমে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এ স্কিমের অধীনে দুই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জমার চারটি অপশন আছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) নিবন্ধন করেছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। এতে গ্রাহকের চাঁদা জমা পড়েছে ১৬ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেগুলো হলো, প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য)।