ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিয়াম হোসেন পালিয়ে ছিলেন নেপালে। পরে নেপাল পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
খবর পেয়ে সেখানে উড়ে যান বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ। সিয়ামকে হেফাজতে নিতে কলকাতা সিআইডি ও বাংলাদেশের পুলিশ আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে শেষ অবধি সিয়ামকে হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা সিআইডি।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিয়াম নেপালে পালিয়ে ছিলেন। পরে তাকে নেপাল পুলিশ আটক করে। কলকাতার সিআইডি তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত ৪ জুন নেপাল থেকে ফিরে শাহজালাল বিমানবন্দরে ডিবি প্রধান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে নেপালের চুক্তি রয়েছে। ভারতীয় পুলিশের কাছে সিয়ামকে দিলেও ভালো হবে। কারণ তাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারসহ তদন্তকে এগিয়ে নেয়া সহজ হবে।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসার কথা বলে গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে বহুদিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন এমপি আনার। সেখানে রাত কাটানোর পর পরদিন ১৩ মে বাসা থেকে বের হলে খুনিদের একজন ফয়সাল তাকে একটি সাদা গাড়িতে করে নিউ টাউনের ভাড়া করা সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।
ঢাকা ও কলকাতার গোয়েন্দা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওইদিন দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে এমপি আনার সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। খুনিরা পরবর্তী আধা ঘণ্টার মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে হত্যা করে। তবে তারা এমপি আনারের মোবাইল ফোন চালু রাখে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন জনকে টেক্সট মেসেজ পাঠায়।
লাশ লুকানোর জন্য ভারতীয় ক্যাবচালক রাজুকে ভাড়া করা হয়েছিল। খুনিরা এমপি আনারের লাশটি এমনভাবে টুকরো টুকরো করেছে যে, মানুষের দেহাবশেষ হিসেবে শনাক্ত করা কঠিন।
পরিকল্পনা মোতাবেক সবকিছু ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন হলে ১৫ মে মূল খুনি আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া এবং আক্তারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসেন।