• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

সিয়ামকে নিয়ে টানাটানি, অবশেষে পরোয়ানা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
সিয়ামকে নিয়ে টানাটানি, অবশেষে পরোয়ানা
এমপি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের সহযোগী নেপালে গ্রেপ্তার হওয়া সিয়ামকে হেফাজতে নিতে চাইছে বাংলাদেশ ও ভারত। কলকাতায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত ও মামলা হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি আসামি সিয়ামকে পেতে চাইছে।

অন্যদিকে, এমপি আনার বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ায় ও রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করার কারণে বাংলাদেশ পুলিশও সিয়ামকে হেফাজতে নিতে চাইছে।

এমন টানাটানির মধ্যেই এমপি আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ আদেশ জারি করেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আদেশ দেন। তবে সোমবার (৩ জুন) এ আদেশ পাঠানো হয়েছে।

সিয়াম হোসেন এমপি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার কুতুবা গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের সময় সিয়াম ভারতে ছিলেন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর নেপালে পালিয়ে যায়।

এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য গত ১ জুন সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। দলে ডিবির দুই জন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

সিয়ামকে নেপাল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। পরোয়ানা ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেপাল সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর তাকে ফেরত আনা সহজ হবে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনেও উল্লেখ করেছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা না হলে সিয়ামকে ফেরত আনা সম্ভব হবে না।

এ মামলায় আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুল, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া পাঁচ দিনের রিমান্ডে ডিবির হেফাজতে রয়েছেন। গত ৩১ মে তাদের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মে এই তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

Link copied!