• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জুতায় পাইকারিতে দাম বেড়েছে, তবুও লাভের আশা খুচরা ব্যবসায়ীদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
জুতায় পাইকারিতে দাম বেড়েছে, তবুও লাভের আশা খুচরা ব্যবসায়ীদের
ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেট। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

এই মার্কেটের যেদিকেই তাকাবেন, শুধু জুতাই দেখা যাবে। ছোট, বড় সব বয়সীদের জন্যই আয়োজন রয়েছে এই মার্কেটে। এক নজরের দেখায় আপনার মনে হবে, এসেছেন জুতার রাজ্যে। বলছি রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকার ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটের কথা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খুচরা জুতা ব্যবসায়ীরা এই মার্কেটের ক্রেতা।  

মাত্র একদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান, এরপর ঈদ। এরই মধ্যে মার্কেটটিতে বেচাকেনা জমে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জুতার কাঁচামালের ক্রয় এবং প্রস্তত খরচ বাড়ায় এ বছর জুতার দাম বেশি। ফলে ক্রেতা সঙ্গে বেড়েছে দর কষাকষি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসার জন্য ক্রেতারা মার্কেটে এসেছেন। তাদের চাহিদা ও পছন্দ মতো জুতা দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। পছন্দ আর দামে বনাবনি হলে বিক্রেতারা পরিমাণ মতো জুতা বের করে দিচ্ছেন।

ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেট। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাজধানীর এই মার্কেটে খুচরা জুতা বিক্রয় হয় না। তবে কেউ কিনতে চাইলে একসঙ্গে ৬ জোড়া জুতা কিনতে হবে, এমন নিয়ম রয়েছে। এখানে একজোড়া জুতার জন্য একজন ক্রেতাকে খরচ করতে হয় প্রকারভেদে ১৫০ থেকে ৫৫০ টাকা।

ট্রেড সেন্টার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজধানীর বুকে গড়ে উঠা সবচেয়ে বড় জুতার আড়ত এই মার্কেট। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খুচরা জুতা ব্যবসায়ীরা এখানে ভিড় জমান।  

ঢাকার দোহার থেকে আসা সোহানুর ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “অনেক সুন্দর সুন্দর জুতা এখানে পাওয়া যায়, তাই এখানে আসি। ঈদকে সামনে রেখে ৩ লাখ টাকার জুতা কিনলাম। নতুন নতুন মডেলের জুতা কিনেছি, আশা করছি এবার ব্যবসা ভালো হবে।”

সাজ্জাদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “জুতার দাম গত বছরের থেকে বেড়েছে।  তাই গত বছরের বাজেট দিয়ে এ বছর আগের মতো জুতা কেনা যাচ্ছে না।  যেমন, গত বছর এক হাজার টাকায় ৫ জোড়া কিনেছি, এবার একই পরিমাণ টাকা দিয়ে ৪ জোড়া কিনতে পারছি। আল্লাহ ভরসা, দেখা যাক কেমন হয়।”

ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেট। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ইটাল বাংলা সুজ নামের একটি দোকানের মালিক মোহাম্মদ রুবেল বলেন, “সবে বরাতের পর থেকেই এখানে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আগামী ২০ রোজা পর্যন্ত ঈদের ব্যবসা চলবে। এ বছর জুতা প্রস্তুত খরচ বেড়েছে। তাই এবার জুতার দামও বেশি। দাম বাড়ায় এ বছর ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করতে হচ্ছে বেশি। তবে ব্যবসা খারাপ না।”

মাসুদ নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “এখানকার দোকানগুলোতে সব বয়সী মানুষদের জন্য জুতা রয়েছে। তবে খুচরা নয়, পাইকারি বিক্রি করা হয়।  সর্বনিম্ন এক মডেলের ৬ জোড়া জুতা এখানে কিনতে হবে। এখন সব জুতার চাহিদা ভালো। সামনে ঈদ আসতেছে। নতুন নতুন মডেলগুলো চাহিদা বেশি।”

Link copied!