ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আক্তারুজ্জামান শাহিনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান জামিন পাননি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) তার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী। তবে ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালত আবেদন খারিজ করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ শিলাস্তি রহমানের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে জানায় যে, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জামিন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, তার মক্কেলকে হয়রানি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে আরও জানান যে, গত ৩ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আসামি। তাই তার জামিন আবেদন খারিজ করা হোক।
এর আগে সোমবার (১০ জুন) ঢাকার আরেকটি আদালত শিমুল ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়ার জামিন নাকচ করে দেন। তারা দুইজনেই এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিবি। এর মধ্যে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান ২০ মে ঢাকা থেকে প্রথমে দিল্লি যান। সেখান থেকে নেপালের কাঠমান্ডু যান তিনি। এরপর দুবাই হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানতে পেরেছে।
খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্য আসামিদের মধ্যে মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হন। এখন তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আরেক আসামি ‘কসাই’ নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও কাজী কামাল। এর মধ্যে প্রথম তিনজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক থাকা অন্য আসামিরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি ও মো. জামাল হোসেন।