• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বিবৃতি না দেন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বিবৃতি না দেন
ছবি : সংগৃহীত

গণবিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, নির্দেশনাও দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য স্বস্তিকর হচ্ছে না। শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেন এটা না করেন সে বিষয়ে সে দেশের হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ভারতে বসে শেখ হাসিনা বিবৃতি দিলে সম্পর্কের ক্ষতি হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, “আমি বলেছি এটা সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। এটা আমি তাকে (হাইকমিশনার) বলেছি। কারণ সরকারের অবস্থান এটাই। এটা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি, তিনি বলতে পারেনও না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তিনি সেখানে সেটি জানাতে পারেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, “এই আলোচনার প্রেক্ষাপটটা হলো বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্টেটমেন্ট এই সরকারের জন্য স্বস্তিকর হচ্ছে না। আমরা চাই তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন।”

শেখ হাসিনার বিবৃতিকে কী হিসেবে দেখা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সরাসরি হোস্টাইল অ্যাক্ট হিসেবে বলছি না। কিন্তু এটা তো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্তরায়। সেটাই তাকে বলার চেষ্টা করেছি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে নিয়ে আমি কোনো কথা বলিনি।”

শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে, তাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কথা বলবে কি না- জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, মামলা হলে তারা (আইন মন্ত্রণালয়) যদি বলে তাকে ফেরত আনতে হবে আমরা আনবো। না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটি হলো স্বরাষ্ট্র ও আইন। তারা যেভাবে পরামর্শ দেবে সেভাবেই আমরা কাজ করবো।

ভারতের গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি বলেছি এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খবর নিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আমরা চাই সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে, কারও ওপর হামলা সরকার সহ্য করবে না। দোষীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। তাকেও (হাইকমিশনার) বলেছি ভারতের গণমাধ্যম এটাকে অতিরঞ্জন করে খারাপ পরিবেশ তৈরি করছে, এটা ঠিক না।

সীমান্ত নিয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা বলেছি কিছু সমস্যা আছে। এই একটি ইস্যু আমরা দুই পক্ষ চাইলে সমাধান করতে পারি। আমি যখন মুক্ত মানুষ ছিলাম তখন প্রচুর লিখেছি, সেটা আমার বিশ্বাস। আমরা চাইলে এটা পারি।” খরব জাগোনিউজের। 

Link copied!