ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় ২০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান।
সোমবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দ্বিতীয়বার শামসুজ্জামান জামিন আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়।
শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) শামসুজ্জামানকে সিএমএম আদালতে আনা হয়। পরে রমনা থানা পুলিশ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী। ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শামসুজ্জামানকে ওই দিন আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে।
গত বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন। নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। পরে শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান তারা।
এরপর গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়। তিনি গতকাল এই মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। তিনি নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়েছেন।