• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাতের আঁধারে ‘বোরকা পরে’ ভারত পালান শামীম ওসমান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
রাতের আঁধারে ‘বোরকা পরে’ ভারত পালান শামীম ওসমান
শামীম ওসমান। ফাইল ফটো

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে বিভিন্নভাবে পালিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ দলটির অনেক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও। আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা দালালদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইত্তেফাক অনলাইন।

ইত্তেফাকের তথ্যমতে, গত ৩ আগস্ট শামীম ওসমান দেশ ছেড়েছেন বলে চাউর হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেদিন ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, তিনি দেশেই আছেন। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর সরকার পতনের ঠিক এক মাসের মাথায় তাকে দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাহে দেখা গেছে।

জানা গেছে, সরকার পতনের পর শামীম ওসমান দালালদের সহায়তায় রাতের আঁধারে বোরকা পরে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি এখন দিল্লি অবস্থান করছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শামীম ওসমানের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে তাকে দুবাইয়ের একটি এলাকায় ধূমপান করতে দেখা যায়।

এ ছাড়া দালালদের সহায়তায় গত ৮ সেপ্টেম্বর নওফেল ও বিপ্লব বড়ুয়া ভারতে পৌঁছান। পরে তারা বারাসাত এলাকায় চট্টগ্রামের জন্ম নেওয়া ভারতীয় নাগরিক জনৈক জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ভারতে চিকিৎসাধীন বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া সেখানে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরার কলারোয়া, দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তের কয়েকটি জায়গা মানব পাচারের জন্য দালালচক্রের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত। স্থল ও জলপথে এসব এলাকা দিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে সীমান্ত পারাপার হয়ে থাকে।

স্বাভাবিক সময়ে এসব ঘাট দিয়ে পাসপোর্ট ছাড়া ভারত যেতে মাথাপিছু ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে টাকার অঙ্ক বেড়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা ৫-২০ লাখ টাকার চুক্তিতে ভারতে ঢুকছেন।

নির্দিষ্ট টাকা পেলে দালালচক্রের সদস্যরা নৌকাযোগে নির্বিঘ্নে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে ভারতীয় অংশের দালালরা গোপন পথে শহরে যাওয়ার বাসরুট দেখিয়ে দেয়। কেউ কেউ ভারতে গিয়ে মাসিক চুক্তিতে কারও বাসা-বাড়িতে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।

Link copied!