দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান যে ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, সে বিষয়টি সাকিব আল হাসানকে আগেই জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, “আরাভ খান নামধারী রবিউল একজন খুনি। এসব কথা সাকিব আল হাসানদের অবগত করার পরও তারা ‘আরাভ’ নামের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করেছেন, সেটা দুঃখজনক। তদন্তের স্বার্থে যদি প্রয়োজন মনে করি, তাহলে সাকিব, হিরো আলমদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।”
ডিবি প্রধান আরও বলেন, “সাকিব আল হাসান দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কি না, আমরা তথ্য নিচ্ছি। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব।”
দুবাইয়ের আরাভ খানই পুলিশ হত্যার আসামি রবিউল, তা কীভাবে বুঝলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা সব সময়ই তাঁর খোঁজখবর রাখছিলেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানসহ অনেকের ফেসবুকে তাঁকে দেখা যায়। তিনিও ফেসবুকে অ্যাকটিভ ছিলেন।’
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার বাড়ি। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন— এ রকম কয়েকটি নামে পরিচিত। ২০১৮ সালে ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের একজন পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। ডিবি বলছে, দেশ থেকে পালিয়ে রবিউল ইসলাম প্রথমে ভারত যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
এদিকে আরাভ খান এক ফেসবুক লাইভে দাবি করেছেন, তার বনানীর অফিসে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খুন হলেও তিনি নিজে এই খুনে জড়িত নন।