আওয়ামী লীগকে নিজের পুরোনো দল উল্লেখ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে দলটির প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেছেন, “মাঝখানে অন্য জায়গায় ছিলাম। এখন ফিরে এসেছি।”
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নতুন দলে যোগ দিয়ে কেমন লাগছে— এ প্রশ্নে শাহজাহান ওমর বলেন, “এটা আমার পুরোনো দল। মাঝখানে অন্য জায়গায় ছিলাম। ব্যাক টু বেঞ্চ।”
এদিকে বার ভবনে আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমর। এ সময় আইনজীবীরা তাকে বেইমান, দালালসহ নানা রকম কটু মন্তব্য করেন। পরে তিনি তোপের মুখে পুলিশের পাহারায় সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ত্যাগ করেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, “শাহজাহান ওমর তার এক জুনিয়রকে আমার চেম্বারে পাঠান তার চেম্বারে যাওয়ার জন্য। আমি তার জুনিয়রকে বলে দেই, মোনাফেকের সঙ্গে দেখা করতে যাব না। পরে শাহজাহান ওমর নিজেই আমার চেম্বারে এসে পোস্টার ছিঁড়েছি কেন, এসব বলে হুমকি দেন। এ সময় আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ত্যাগ করেন।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাহজাহান ওমরকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করার কথা ৩০ নভেম্বর জানিয়েছিলন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর একটি বাসা থেকে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এরপর ৯ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
২৯ নভেম্বর দুপুরে জামিন পান শাহজাহান ওমর। জামিনে কারাগার থেকে বেরোনোর পরদিন আওয়ামী লীগে যোগ তিনি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নও পান তিনি।
৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ইউটিসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দেন শাহজাহান ওমর।