বাংলাদেশের শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে বুকে ব্যথা থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে পান্না কায়সারকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বেলা ১১টায় তিনি মারা যান
বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে ইস্কাটনের বাসায় আনা হয়েছে। সেখানে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। রোববার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তার তৃতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন পান্না কায়সার। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ১৯৬৯ সালে শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কিছু সদস্য শহীদুল্লা কায়সারকে তার ২৯বি-কে গাঙ্গুলী লেনের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
পান্না কায়সার ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।