• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শাহবাগ অবরোধ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
শাহবাগ অবরোধ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার
শাহবাগ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতা’ ব্যানারে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ছাত্র-জনতা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা সমাবেশ করেন। এ সময় তারা পাহাড়িদের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান। প্রায় ২০ মিনিট তারা শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পাপড়ি চাকমা বলেন, “খাগড়াছড়িতে হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িতদের বিচার ও পাহাড়ে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

নিপ্পন চাকমা বলেন, “আমরা যখন আমাদের অধিকার আদায়ে কথা বলি, তখন আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলা হয়। আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী নই। আমাদের ওপর আঘাত এলে অস্তিত্ব রক্ষায় আমরা বসে থাকব না।”

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে আগুন দেওয়া হয়। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৬০টি দোকান।

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০)। জুনান চাকমা ও রুবেলের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়।

Link copied!