শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “সরকারি কর্মচারীদের মূল কাজ হলো জনগণকে সেবা দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কৃষি বিভাগ কৃষকদের, মৎস্য বিভাগ মৎস্যজীবীদের যেমন সাহায্য করবে তেমনি পুলিশ বিভাগ পুলিশি বিষয়ে জনগণকে সহায়তা করবে।”
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) অনুষ্ঠিতব্য ৭৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিপিএটিসির রেক্টর সাঈদ মাহবুব খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “সব ক্ষেত্রে কর্মচারীদের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। একইসঙ্গে তাদের দায়িত্বশীলতারও পরিচয় দিতে হবে।”
সরকারি চাকরিজীবীদের দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার তাগিদ দেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “জনগণকে সেবাদানে পারদর্শিতা ও আন্তরিকতা হবে একজন সরকারি কর্মচারীর দক্ষতা ও যোগ্যতার মাপকাঠি। ধর্ম, লিঙ্গ, ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদ না করে সব নাগরিককে সমভাবে সেবা প্রদানের মানসিকতা লালন করতে হবে আপনাদের। এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, জনগণকে তাদের প্রাপ্য সেবা প্রদান কোনো করুণা নয়।”
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ছাত্র-জনতার এক অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থান পরবর্তীতে আমরা এক নতুন যাত্রা শুরু করেছি। সে যাত্রা ন্যায্যতা, ন্যায়ের ও সমতাপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ গড়ার। নিকট অতীতের সুশাসনের অভাবজনিত কারণে এ চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ।”
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, “অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে আমি মনে করি, সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ ও কর্মসূচি ছাড়া গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের সামনে ভিন্ন কোনো পথ নেই। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত সরকারি কর্মচারী। ছাত্র-জনতার অপরিমেয় আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে জনপ্রত্যাশা, তা অবশ্যই আপনাদের পূরণ করতে হবে।”
এ সময় ৭৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে সামগ্রিক মূল্যায়নে প্রথম থেকে ২০তম স্থান অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
বিসিএস ৩৫-৪০তম ব্যাচের বিভিন্ন ক্যাডারের ৩৫৪ জন কর্মকর্তা গত ৯ মার্চ হতে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ এ অংশগ্রহণ করেন।