• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য প্রদান নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য প্রদান নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

রাজধানীতে ‘ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য প্রদান সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং সাক্ষ্য আইন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেইলী রোডের ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এম এ পারভেজ রহিম বলেন, “ডিএনএ আইন ২০১৪-এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় ডিএনএ রিপোর্টকে সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু সাক্ষ্য আইন ৭২ (ক) ও ১৪৬ ধারা অনুযায়ী, ডিএনএ রিপোর্ট ও অন্যান্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টকে উপযুক্ত প্রমাণ হিসেবে রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলা আছে।”

অনুষ্ঠানের মূল আলোচক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার তার বলেন, “সংবিধানের ১১১ ধারা মতে উচ্চ আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ডাকতে পারবে। সংবিধানের ১১২ ধারা মতে, নিম্ন আদালত এই বিষয়ে উচ্চ আদালতকে সহায়তা করবে। এ ছাড়া আদালত যদি মনে করে তাহলে রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাইতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিএনএ আইন-২০১৪ এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় ডিএনএ রিপোর্টকে সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতেই হবে বলে বাধ্যবাধকতা নেই। তাই আদালত চাইলে রিপোর্ট প্রস্তুতকারীকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাকতে পারে।”

সিআইডির মহাপরিচালক মো. জামশেদ আলী বলেন, আদালত প্রয়োজন মনে করলে অবশ্যই রিপোর্ট প্রস্তুতকারীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ত্বরান্বিত হবে।

সিআইডি চিফ অ্যানালিস্ট আহমেদ ফেরদৌস বলেন, সিআইডি ও ন্যাশনাল ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবের জনবলের ঘাটতি থাকায় সব মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য দেওয়া বাস্তব সম্মত নয়। এক্ষেত্রে ল্যাবের কার্যক্রমই পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ডিএনএ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে।

ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবের ল্যাব প্রধান মো. জাবেদুল আলম খন্দকার বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে বিভিন্ন হত্যা মামলা, অত্যন্ত হিংস্র অপরাধ কিংবা গণধর্ষণের ক্ষেত্রে আদালত ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারীদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে তলব করেন। সাধারণ মামলা যেমন: ‍ পেটারনিটি কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন না। ডিএনএ রিপোর্টকে চূড়ান্ত মতামত হিসেবে গ্রহণ করেন।
 

Link copied!