দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি। ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিত্র হয়ে ওঠা জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে আলোচনা এখনো চলছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ রোববার আবারও আসন ভাগাভাগি নিয়ে দল দুটির প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগের দিন শুক্রবার রাতেও বৈঠকে বসেছিলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। সেই বৈঠকে কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি তারা। শনিবার চতুর্থ দফা বৈঠকও শেষ হলো কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই।
বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নেতারা বেরিয়ে গেলেও সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি কেউ।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে দলটির দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ একজন কো চেয়ারম্যান ছিলেন বলে বৈঠকে উপস্থিত এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান।
বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হলেও আসন ছাড় নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। রোববার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হবে, সকালেই সব জানতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অতিদ্রুতই জানতে পারবেন। সমঝোতাহীন বৈঠকের কথা বলেছেন দলের কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও। তিনি বলেন, এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি, কাল সকালে হবে।
বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষ কথা না বললেও আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আসন ছাড় দেওয়া নিয়ে দুই দল প্রায় সমঝোতায় পৌঁছেছে। আগামী দিনের বৈঠকে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়ে যাবে এবং দুই দল সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে।
এর আগে সন্ধ্যায় দলের নেতাদের নিয়ে একই জায়গায় দু’দফায় বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।