ধান কাটার মৌসুমের মতো, এখন দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, “প্রত্যেক দাবির একটা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। এতে সরকারের ব্যয় বাড়বে। কিন্তু সরকারের রাজস্ব হঠাৎ করে রাতারাতি বাড়বে না।”
রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত আনসার কর্তৃক বর্বর হামলায় আহত ছাত্র, সমন্বয়ক ও সাধারণ মানুষের ওপর বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন আন্দোলনের প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “সরকার কীভাবে এসব দাবি স্বল্প সময়ে পূরণ করবে? এসব দাবি পূরণ করতে হলে সরকারের টাকা ছাপাতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি হলে জনসাধারণ সাফার করবে।”
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “মূল্যস্ফীতি বাড়লে বাজারে আলুর দাম ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা হবে, পটলের দাম বেড়ে যাবে, তেলের দাম ২০০ টাকা ছুঁবে, পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা হবে।”
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে ফাওজুল করিম খান বলেন, “নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এলে আমরা আলাপ করতে রাজি। এমন হয়নি যে কোনো উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।”
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “এই সরকারের মেন্ডেড খুব স্ট্রং। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন। সুতরাং কেউ যাতে মনে না করে যে, এই সরকার বানের জলে ভেসে আসা।”
গত ১৬-১৭ বছরে অপকর্মের ইতিহাসের কথা স্মরণ করে ফাওজুল করিম খান বলেন, “আমরা ন্যায্য দাবি ও বৈষম্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তবে বৈষম্য বিলোপের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে। এই সরকার জনপ্রত্যাশা সরকার এবং জনপ্রত্যাশাকে পূরণ করতে যত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সরকার তা নেবে। তবে তার জন্য সময় প্রয়োজন।”
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।