বিদেশে থেকে দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন ও কথা বলে থাকেন লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও ড. কনক সরওয়ার। তাদের এই কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনারও জন্ম দেয়। এবার গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন এবং যারা প্রবাস জীবন কাটিয়েছে তাদের সংসদেও আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলামোটরে সংগঠনটির কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির ডায়াসপোরা কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি ৪টি মহাদেশ ও ৩০টি দেশের ৭৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করে।
সারজিস আলম বলেন, “অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনা মিডিয়ার গলা চেপে ধরে রেখেছিল। বিভিন্ন এজেন্সি অলওয়েজ নজরদারি করত। তারা নিউজের শব্দ ও বাক্য ঠিক করে দিত। কিন্তু দেশের বাইরে প্রবাসী ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিকেরা সাহস জুগিয়েছেন, খুনি হাসিনার রেজিমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ডায়াসপোরা কমিউনিটির একটি অংশকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে স্মরণ করতে চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, “আমরা যদি উদাহরণ স্বরূপ ইলিয়াস ভাই, পিনাকী দাদা, কনক সরওয়ারের কথা বলি, তাদের মতো এমন অসংখ্য ব্যক্তি ছিলেন; যারা ওই রেজিমের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে থেকে কথা বলেছেন এবং এখনো তাদের জায়গা থেকে দেশের জন্য কথা বলছেন। আমরা আমাদের এই ডায়াসপোরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”
এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিক কমিটি জানায়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়ন এবং পুনর্গঠনের কাজে যুক্ত করাই এই কমিটির মূল লক্ষ্য।