আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির পরিচালনা পরর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর (এফ) রহমানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হলো ব্যাংকটি। সালমান রহমান এ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।
নতুন পর্ষদে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক ও দুজন প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করাসহ জনস্বার্থে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে বলে আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা উল্লেখ করেছে।
২০১৫ সাল থেকে আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন সালমান এফ রহমান। তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানও ব্যাংকটির পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে সরকার পরিবর্তনের পরপরই তিনি বাদ পড়েন। ব্যাংকটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সালমান এফ রহমান এটি থেকে নামে-বেনামে নানা কৌশলে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া বন্ড ও সুকুক ছেড়ে টাকা তুলেছেন ব্যাংক ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. মেহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ কাজী মো. মাহবুব কাশেমকে ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। এ ছাড়া ব্যাংকে সরকারের ৩২ দশশিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার থাকায় অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মনজুরুল হককে প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা পলাতক ছিলেন। কয়েক দিন পর পুলিশ তাঁকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়।