প্রতিবছরই বাণিজ্য মেলায় চমক থাকে বিদেশি স্টলগুলোতে। কারণ, দেশি পণ্য সবসময় ছাড়ে কিনতে পাওয়া গেলেও বিদেশি পণ্য ছাড়ে খুব কম সময়ই পাওয়া যায়। ফলে বিদেশি স্টলগুলোতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।
তথ্য বলছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর অংশ নিয়েছে। এই ৭ দেশের মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান মেলায় যুক্ত হয়। যেখানে গত বছর মেলায় অংশ নিয়েছিল ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান। অনেক প্রতিষ্ঠান ভিসা ও পণ্য আনার জন্য পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় অংশ নিতে পারেনি বলে বক্তব্য আয়োজকদের।
এবারের মেলায় অংশ নেওয়া ৭টি দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হয়েছে। মেলায় এসব পণ্যে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ালেও ক্রেতা কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ক্রেতাদের ভাষ্য, গতবারের চেয়ে এবার সব পণ্যের দাম বেশি। একারণে হয়তো মানুষের পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহ থাকলেও সামর্থ্যের জায়গা ছোট হয়ে গেছে। বিশেষ করে সহনীয় পর্যায়ে বিদেশি পণ্যে খুব কমই ছিলো। ডলার সংকট, এলসি বন্ধ, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে।
জানতে চাইলে টার্কিশ প্যাভিলিয়নের এক বিক্রয় কর্মী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বর্তমান নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের ব্যয় বেড়েছে। তাই হয়তো মেলায় এসে কেনাকাটা কম করছেন।“
তিনি আরও বলেন, “মেলায় শুরুতে পণ্য বিক্রি কম হয়েছে। মোটামুটি পর্যায়ে এসেছে মধ্যবর্তী সময়ে। শেষ সময়ে অফার থাকায় প্যাভিলিয়নগুলো দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। তবে তাদের মধ্যেও ক্রেতা খুব কম, দর্শনার্থীই বেশি। বিদেশিরা যে ব্যবসার আশা করেছিলো সেটা কতটুকু পূরণ হয়েছে তা তারাই বলতে পারবে।”
জানা যায়, মেলা উপলক্ষে টার্কিশ প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন পণ্যে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ছাড় দিয়ে ওয়াল হ্যাঙ্গিং ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা, সিরামিক পণ্য ৫০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা, ঝাড়বাতি ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা, কপারের তৈরি পণ্য ৭০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, লেদারের ব্যাগ ৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা, ক্রিস্টাল গ্লাসের সার্ভিসিং বল ২ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা, তুর্কি মেলামাইনের পণ্য ৪০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মেলায় আসেন মহাতাব মণ্ডল। টার্কিশ প্যাভিলিয়নে পণ্যগুলো দেখতে সুন্দর হওয়ায় প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। কিছু কিনবেন বলেও ইচ্ছা প্রকাশ করেন এ প্রতিবেদকের কাছে। তিনি বলেন, “বিদেশি প্যাভিলিয়নগুলোর মধ্যে টার্কিশ প্যাভিলিয়নের সবকিছুই ঝকঝকে, দেখতেও খুব সুন্দর। তুরস্কের পণ্য আমরা বাণিজ্য মেলায় পাবো ভাবতেও পারিনি। দাম বেশি হলেও